নম্মস্কার বন্ধুরা।
MODEL ACTIVITY TASK
CLASS 8
HISTORY
১-
দেওয়ানীর অধিকার, দ্বৈত শাসনব্যাবস্থা ও ছিয়াত্তরের মন্বন্তর কীভাবে একে অপরের সঙ্গে যুক্ত ছিল ?
উ- বক্সারের যুদ্ধে
ব্রিটিশ কোম্পানি
জিতে যাওয়ার
সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ
ফলাফল ছিল
কোম্পানির দেওয়ানী
লাভ। ১৭৬৫
সালের মাঝামাঝি
সময় লর্ড
ক্লাইভ আবার
বাংলায় ফিরে
আসে। ততদিনে
মিরজাফর মারা
গিয়ে তার
ছেলে নজম-উদ-দৌলা
বাংলার নবাব
হন। ক্লাইভ
অবশ্য বক্সারের
যুদ্ধ জয়ের
সুবিধাকে বিস্তৃত
করতে উৎসাহী
ছিলেন। ফলে
বাংলা থেকে
দিল্লি পর্যন্ত
উত্তর ভারতের
ক্ষমতা সরাসরি
দখল না
করে মুঘল
সম্রাটের প্রতি
আনুগত্য জানায়
কোম্পানি। সেই
মত দ্বিতীয়
শাহ আলম
ও সুজা-উদ-দৌলার
সঙ্গে ব্রিটিশ
কোম্পানি দুটি
চুক্তি করতে
উদ্যোগী হন। সেই মতাবেক
১৭৬৫ সালে
এলাহাবাদে দুটি
চুক্তি হয়। ওই চুক্তি
অনুসারে কোম্পানিকে
৫০ লক্ষ্য
টাকা দেওয়ার
বিনিময় সুজা-উদ-দৌলা
অযোধ্যার শাসনভার
ফিরে পান। কেবল কারা
ও এলাহাবাদ
অঞ্চল অযোধ্যা
থেকে আলাদা
করে মুঘল
বাদশাহের হাতে
তুলে দেওয়া
হয়। বাদশাহ
শাহ আলম
দিল্লির অধিকার
ফিরে পাওয়ার
বদলে একটি
ফরমান জারি
করে। সেই
ফরমান অনুযায়ী
বাংলা, বিহার,
উড়িষ্যার দেওয়ানীর
অধিকার ব্রিটিশ
কোম্পানিকে দেওয়া
হয়। তার
বদলে কোম্পানি
শাহ আলম
কে বার্ষিক
২৬ লক্ষ্য
টাকা দিতে
অঙ্গীকার করে। আঠারো শতকের
মধ্যভাগে বাংলার
আর্থসামাজিক ক্ষেত্রে
এক নেতিবাচক
ঘটনা ছিল
ছিয়াত্তরের মন্বন্তর। ১৭৭৬ খ্রিস্টাব্দে
বাংলায় ছিয়াত্তরের
মন্বন্তর ঘটে। ১৭৬৫ খ্রিস্টাব্দে
দেওয়ানী লাভের
পর ১৭৭২
খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত
বাংলায় দ্বৈতশাসন
চলেছিল। এইসময়
ইস্টইন্ডিয়া কোম্পানির
একমাত্র লক্ষ্য
ছিল যত
সম্ভব রাজস্ব
আদায় করা। ছিয়াত্তরের মন্বন্তরের
পরিণতি হিসাবে
বাংলায় ভয়ানক
দুরবিক্ষ দেখা
দিয়েছিল। ঠিকমত
বর্শা ও জলসেচের অভাবে
কৃষিকাজ নষ্ট
হয়েছিল। অভাবের
তাড়নায় কৃষকরা
গরু, মহিষ,
এমনকি পুত্রকন্যাদেরও
বিক্রয় করতে
বাধ্য হয়।
উদ্যোগ-
১- ১৭৭২ খ্রিস্টাব্দ
থেকে ১৭৮১
খ্রিস্টাব্দের মধ্যে
দেওয়ানী বিচার
ব্যাবস্থার পরিবর্তন
ঘটে।
প্রশাসক-
ওয়ারেন হেস্টিংস
অন্যান্য
উদ্যোগ- প্রতি
জেলাতে একটি
দেওয়ানী ও একটি ফৌজদারি
আদালত তৈরি
করেন।
একটি রেভেনিউ বোর্ড
গঠন করে
রাজস্ব সংক্রান্ত
বিষয় তথ্যানুসন্ধানের নির্দেশ দেন।
উদ্যোগ-
২- দেওয়ানী সংক্রান্ত
বিচার ও রাজস্ব আদায়ের
দায়িত্ব আলাদা
করা।
প্রশাসক-
লর্ড কর্নওয়ালিস
অন্যান্য
উদ্যোগ- জেলাগুলির
দেখভালের জন্য
পুলিশ থানা
ব্যাবস্থার প্রচলন
করে।
১৮০০ খ্রিস্টাব্দে কলকাতায়
ফোর্ট উইলিয়াম
কলেজ গড়ে
তোলেন।
উদ্যোগ-
৩- প্রশাসনিক ব্যয়
কমাতে চেয়াছিলেন।
প্রশাসক-
লর্ড উইলিয়াম বেন্টিক
অন্যান্য
উদ্যোগ- ডেপুটি
ম্যাজিস্ট্রেট, ডেপুটি
কালেক্টার প্রভিতি
পদে ভারতীয়দের
নিয়োগ করে।
এলাহাবাদ ও বারাণসী
অঞ্চলে মহলওয়ারী
বন্দোবস্ত চালু
করেন।
উপরনিচ-
১- বেনারস সংস্কৃত
কলেজের প্রতিষ্ঠাতা
– জোনাথান ডানকান।
২- যার প্রস্তাব
অনুযায়ী তিনটি
প্রেসিডেন্সিতে তিনটি
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা
করা হয়েছিল
- চার্লসউড
৩- সুপ্রিম কোর্টের
প্রধান বিচারপতি,
হিন্দু কলেজের
সাথে যুক্ত
ছিলেন- এডওয়ার্ড
হাইডইস্ট।
পাশাপাশি-
৪- কলকাতা মাদ্রাসা
প্রতিষ্ঠা করেছিলেন-
ওয়ারেন হেস্টিংস।
৫- ১৮০০ খ্রিস্টাব্দে
প্রতিষ্ঠিত একটি
সংস্থা- ব্যাপটিস্ট
মিশন।
৬- হিন্দু কলেজের সাথে প্রতিষ্ঠার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন- অন্যতম শিক্ষা অনুরাগী- ডেভিড হেয়ার।
For more details
Click Here -
1 Comments
Gd content sir
ReplyDelete