Looking For Anything Specific?

Header Ads

বাংলা রচনা ।। বিজ্ঞানের অগ্রগতি ও পরিবেশ সংরক্ষন ।।

 বিজ্ঞানের অগ্রগতি পরিবেশ সংরক্ষন




PDF DOWNLOAD LINK

আমাদের পরিবেশ আমাদের কাছে খুবই মূল্যবান একটি সম্পদ । তাই পরিবেশ কে  সংরক্ষণ করা আমাদের পৃথিবীর জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ। এই পৃথিবী গড়ে ওঠার সময় হয়তো জন্ম হয়েছিল এই পরিবেশের,  পরিবেশের সমস্তপ্রকার প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের সঙ্গে মােকাবিলা করতে গিয়ে মানুষ তার মনের কৌতুহলবশতই একদিন পাথরে পাথরে ঘর্ষণের মাধ্যমে আগুনের আবিষ্কার করল। এভাবেই ঘটে বিজ্ঞানের আত্মপ্রকাশ।

 বিজ্ঞান আমাদের প্রতিদিনের জীবনে অগণিত সুবিধা নিয়ে এসেছে। কৃষি, স্বাস্থ্য, যোগাযোগ, পরিবহন, এবং শিল্প ক্ষেত্রে বিজ্ঞানের অবদান অসামান্য। 

উদাহরণস্বরূপ : - 


  •  কৃষিক্ষেত্রে উন্নত প্রযুক্তির ব্যবহারে ফসল উৎপাদন বেড়েছে। 

  • স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে নতুন ওষুধ ও চিকিৎসা পদ্ধতি আবিষ্কারের মাধ্যমে অনেক রোগ নিরাময় করা সম্ভব হয়েছে। 

  • যোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি ক্ষেত্রে ইন্টারনেট ও মোবাইল ফোন আমাদের জীবনের অংশ হয়ে উঠেছে। 

  • মানুষের ঘরে ঘরে পৌঁছে গেছে টিভি।

  •  চাঁদের মাটিতেও পা রাখা সম্ভব হয়েছে বিজ্ঞানের দৌলতে। 


এইসব অগ্রগতি আমাদের জীবনকে সহজ ও গতিশীল করেছে। বিজ্ঞানের দৌলতে সমগ্র দুনিয়াটা মানবজগতের হাতের মুঠোয় এসে গিয়েছে। কেবল বিজ্ঞানই নয় তার সাথে সাথে প্রযুক্তিবিদ্যা ও  নিজেকে বিস্তারিত করেছে। তবে বিজ্ঞানের এই অগ্রগতি অনেক সময় পরিবেশের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। 

উদাহরণস্বরূপ : - 

  •  শিল্প বিপ্লবের সময় থেকে কারখানা ও যানবাহনের ধোঁয়া এবং প্লাস্টিক ও অন্যান্য বর্জ্য পদার্থের ফলে বায়ু, জল ও মাটি দূষিত হচ্ছে।  ফলে পরিবেশ ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। 


  • প্লাস্টিক ও অন্যান্য অ-বায়োডিগ্রেডেবল পদার্থের ব্যবহার পরিবেশে দীর্ঘমেয়াদী দূষণ সৃষ্টি করেছে।


  •  বনভূমি উজাড়, জলবায়ু পরিবর্তন, বায়ু ও জল দূষণ ইত্যাদি সমস্যাগুলি বিজ্ঞানের অগ্রগতির সাথে সাথে বেড়েছে।


  • unchecked

    জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার এবং গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমনের ফলে বৈশ্বিক উষ্ণায়ন ও জলবায়ু পরিবর্তন ঘটছে। 


পরিবেশদূষণের ফলে আমাদের ঋতুবৈচিত্র্য নষ্ট হয়ে গেছে এর সাথে সাথে চলছে বৃক্ষ নিধন। বন কেটে সাফ করে দেওয়া হচ্ছে। সঠিক সময়ে পর্যাপ্ত বৃষ্টিপাত না-হওয়া, অত্যধিক গরম, টাইফুন ও সাইক্লোনের মতাে প্রাকৃতিক দুর্যোগের একমাত্র কারণ এই পরিবেশদূষণ। এভাবে চলতে থাকলে বিজ্ঞানীরা মনে করছেন প্রায় ২০ - ৩০ বছরের মধ্যে পৃথিবীজুড়ে দূষণজনিত মড়ক দেখা দেবে। এই মড়ক ও দুর্যোগ থেকে বাঁচতে হলে  বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সাহায্য নিয়ে আমাদের পরিবেশকে সংরক্ষণ করতে হবে । 

উদাহরন - 


  • সৌর শক্তি, বায়ু শক্তি এবং জলবিদ্যুৎ ব্যবহার করে জীবাশ্ম জ্বালানির ওপর নির্ভরতা কমানো যায়।

  • বৈদ্যুতিক গাড়ি, শক্তি সাশ্রয়ী যন্ত্রপাতি ও রিসাইক্লিং প্রযুক্তি পরিবেশ দূষণ কমাতে সাহায্য করে।

  • বিভিন্ন কারখানায় দূষণ নিয়ন্ত্রণ প্রযুক্তি ব্যবহার করে বায়ু ও জল দূষণ কমানো সম্ভব।

  • বর্জ্য পুনর্ব্যবহার ও পুনঃপ্রক্রিয়াজাতকরণ প্রযুক্তির উন্নয়নের মাধ্যমে পরিবেশ দূষণ কমানো যায়।


বিজ্ঞানের অগ্রগতি ও পরিবেশ সংরক্ষণ একে অপরের পরিপূরক। সঠিক নীতি ও ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির উন্নয়ন পরিবেশের ওপর নেতিবাচক প্রভাব কমিয়ে আমাদের জীবনে আরও সুখ-সমৃদ্ধি নিয়ে আসতে পারে। এজন্য আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে এবং পরিবেশ সংরক্ষণে সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে হবে। একমাত্র তবেই আমরা নিজেদের জন্য ও পরবর্তী প্রজন্মের জন্য একটি সুস্থ ও সবুজ পৃথিবী গড়ে তুলতে সক্ষম হবো।

 









Post a Comment

0 Comments