Class – 9
Model Activity Task (Bengali)
Part – 5 (2ND Series)
১.১। “হিন্দি উপস্থিত সেই চেষ্টাটা করেছেন” – কোন চেষ্টার কথা প্রাবন্ধিক বলেছেন ?
উঃ- উদ্ধৃত অংশটি সৈয়দ মুজতবা আলির লেখা নব নব সৃষ্টি রচনাংশের অংশবিশেষ। হিন্দি থেকে আরবি, ফারসি এবং ইংরেজি শব্দ তাড়িয়ে দেওয়ার কথা প্রাবন্ধিক বলেছেন।
১.২। ‘এরই মাঝে বাংলার প্রাণ’ – কবি কোথায় বাংলার প্রাণের সন্ধান পেয়েছেন ?
উঃ- কবি জীবনানন্দ দাশের লেখা আকাশে সাতটি তারা কবিতায় হিজল, কাঁঠাল প্রভৃতি বৃক্ষ, পুকুর, মাছ, কিশোর-কিশোরী অর্থাৎ মানুষ এই সমস্ত কিছু নিয়েই বাংলার পরিপূর্ণ প্রকৃতি। এই প্রকৃতির মধ্যে কবি বাংলার প্রাণের সন্ধান পেয়েছেন।
১.৩। “এখন আমার দৃঢ় বিশ্বাস হয়েছে “– পত্রলেখকের দৃঢ় বিশ্বাসটি কী ?
উঃ- এখানে পত্রলেখক স্বামী বিবেকানন্দের দৃঢ় বিশ্বাস যে ভারতের কাজে মিস নোবলের এক বিরাট ভবিষ্যৎ রয়েছে। ভারতের নারীসমাজের জন্য একজন প্রকৃত সিংহীর প্রয়োজন এবং মিস নোবলের শিক্ষা, পবিত্রতা, অসীম, ভালোবাসার জন্য মিস নোবল-ই ঠিক সেইরূপ নারী যাকে ভারতের প্রয়োজন।
১.৪।“ যা গিয়ে ওই উঠানে তোর দাঁড়া” – সেখানে গিয়ে দাঁড়ালে কোন দৃশ্য দেখা যাবে ?
উঃ- কবি নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীর লেখা আবহমান কবিতায় সেখানে অর্থাৎ লাউমাচাটার পাশে গিয়ে দাঁড়ালে গ্রামবাংলার প্রকৃতিলালিত সহজ সরল জীবনকে সেখানে খুঁজে পাওয়া যায়।
১.৫। “তোমার বাড়ি কোথায়” – রাধারানী এই প্রশ্নের উত্তরে কী বলেছিল ?
উঃ- বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের লেখা রাধারানী গল্পে রাধারানী এই প্রশ্নের উত্তরে বলেছিল যে তার বাড়ি শ্রীরামপুরে।
২।
২.১। “সংস্কৃত ভাষা আত্মনির্ভরশীল” – প্রাবন্ধিক কেন এমন মন্তব্য করেছেন ?
উঃ- নব নব সৃষ্টি প্রবন্ধে প্রাবন্ধিক এমন মন্তব্য করেছেন কারণ তাঁর মতে কোনো নতুন চিন্তা, অনুভূতি কিংবা বস্তুর জন্য নবীন শব্দের প্রয়োজন হলে সংস্কৃত
ভাষা তা অন্য ভাষা থেকে ধার করার কথা ভাবেনা। পরিবর্তে নিজের শব্দ ভাণ্ডারে এমন কোনো ধাতু বা শব্দ খোঁজ
করে যা সামান্য অদল বদল করে কিংবা পুরোনো ধাতু দিয়ে নবীন শব্দ নির্মাণ করা যায়। তাই সংস্কৃত ভাষা আত্মনির্ভরশীল।
২.২। “পৃথিবীর কোনো পথ এ কন্যারে দেখে নিকো” – কোন কন্যার কথা এখানে বলা হয়েছে ?
উঃ- আকাশে সাতটি তারা কবিতায় কবি জীবনানন্দ দাশ গ্রামবাংলার সন্ধ্যাকে নিবিড়ভাবে উপলব্ধি করেছেন। তাঁর সূর্য অস্ত যাওয়ার পরে যেন এক কেশবতি কন্যা আসে সন্ধ্যার আকাশে। তার ছড়িয়ে পরা কালো চুলে ঘনিয়ে আসে রাতের অন্ধকার। কবির কল্পনার এই কন্যা আসলে বাংলার সান্ধ্য প্রকৃতির। বাংলার মতো সৌন্দর্য পৃথিবীর আর কোথাও নেই। তাই আর কেউ এই কন্যাকে দেখেনি।
২.৩।“ মরদ কী বাত হাতি কী দাঁত “– স্বামী বিবেকানন্দ কেন এই প্রবাদটি ব্যাবহার করেছেন ?
উঃ- স্বামী বিবেকানন্দের ‘চিঠি’ রচনায় উল্লিখিত প্রবাদটির আক্ষরিক অর্থ হল মরদ অর্থাৎ পুরুষের কথা হাতির দাঁতের মতো। হাতির দাঁত যেমন একবার বেরোলে আর ঢোকে না ঠিক সেইরকম পুরুষের কথাও হাতির দাঁতের মতো। বিবেকানন্দ
নোবলের ভারতে আগমনের আগে এদেশে এলে তাকে কী কী প্রতিকূলতার মুখোমুখি হতে হবে তা জানিয়েছেন। এবং বলেছেন যে কাজের ক্ষেত্রে যদি ব্যার্থতা আসে বা কাজের প্রতি বিরক্ত বোধ হয় তবুও আমৃত্যু মিস নোবল বিবেকানন্দকে পাশে পাবেন। নিজের প্রতিজ্ঞার দৃরতাকে বোঝাতে গিয়েই স্বামীজি আলোচ্য মন্তব্যটি করেছেন।
২.৪। “ফুরয় না সে একগুঁয়েটার দুরন্ত পিপাসা” – কোন পিপাসাকে কেন দুরন্ত বলা হয়েছে ?
উঃ- নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী আবহমান কবিতায় প্রকৃতির জন্য যে মানুষের
মধ্যে আকুলতা দেখা যায় তাকেই একগুঁয়ে বলা হয়েছে. একগুঁয়ে মানুষটির মধ্যে
রয়েছে প্রকৃতি এবং গ্রামজীবনের কাছে ফিরে
আশার প্রবল আকর্ষণ যাকে কবি দুরন্ত পিপাসা বলেছেন.
ক্লান্তি আর
অবসন্নতা ঘিরে ধরে মানুষকে. যন্ত্রসভ্যতার
দমবন্ধ করা চাপে হাঁপিয়ে ওঠে মানুষ. ফলে তার মধ্যে তীব্র হয় ফিরে আসার আরতি.
গ্রাম জীবনে সরলতা আর প্রকৃতির সহজতা তার মধ্যে এই ফিরে আসার
আকর্ষণ তৈরি করে. মাটিকে হাওয়া কে ভালবেসে ফিরে আসা তাই চলতে থাকে. সারাদিন
আপন-মনে ঘাসের গন্ধ মেখে আর সারারাত তারায় তারায় স্বপ্ন এঁকে প্রকৃতির কাছে ফিরে
আসার যে আকাঙ্ক্ষা তা মানুষের মনে চিরকালীন তা কখনোই ফুরোয় না
৩। ৩.১। বাঙালি চরিত্রে বিদ্রোহ বিদ্যমান – নব নব সৃষ্টি প্রবন্ধে প্রাবন্ধিক কীভাবে সেই বিদ্রোহের পরিচয় দিয়েছেন ?
উঃ- সৈয়দ মুজতবা আলীর মতে রাজনীতি, ধর্ম, সাহিত্য যখনই বাঙালি সত্য ও সুন্দরের সন্ধানে পেয়েছে তখনই তা গ্রহণ করতে
চেয়েছে আর গতানুগতিকতা বা প্রাচীন ঐতিহ্যের দোহাই দিয়ে কেউ সেই প্রচেষ্টায় বাধা
দিতে গেলে বাঙালি জাতি বিদ্রোহী হয়ে উঠেছে এবং তার চেয়েও বড় কথা - যখন সে বিদ্রোহ উচ্ছৃঙ্খলতায় পরিণত হতে চেয়েছে তখন তার বিরুদ্ধে বিদ্রোহ
করেছে আর এই বিদ্রোহে বাঙালি মুসলমানরাও যোগ দিয়েছে তার কারণ ধর্ম বদলে গেলেও
জাতিসত্তা একই থেকে যায়।
৩.২। আসিয়াছে শান্ত অনুগত / বাংলার নীল সন্ধ্যা – আকাশে সাতটি তারা কবিতা অনুসরণে সেই সন্ধার বিবরণ দাও।
উঃ- জীবনানন্দ দাশের লেখা আকাশে সাতটি তারা কবিতায় কবি বাংলার সুন্দর
প্রকৃতির এক অসামান্য বর্ণনা দিয়েছেন। বাংলার গ্রামে শহরের মত কোলাহল নেই সেখানকার
জীবনযাত্রা খুবই শান্ত প্রকৃতির। গ্রাম বাংলার সন্ধ্যা গ্রামের পরিবেশের সাথে
মানানসই
- তার কোনো চাকচিক্য নেই
কেবল আছে স্নিগ্ধতা । সন্ধ্যায়
অন্ধকার আর দিনের আলো মিশে যে আবছায়া
তৈরি করে তার সঙ্গে গাছপালার সবুজ আভা মিলে সন্ধ্যাকে নীল করে তোলে।
৩.৩। চিঠি অনুসরণে স্বামী বিবেকানন্দের
বিদেশী
ভক্ত
ও অনুগামীদের
পরিচয়
দাও
?
উঃ- স্বামী বিবেকানন্দের
লেখা চিঠি রচনায় বিবেকানন্দের
বিদেশী ভক্ত ও অনুগামীদের সংখ্যা মোট সাতজন। এনারা হলেন -
মিস নোবেল - স্বামীজীর শিষ্যদের মধ্যে অন্যতম এবং অগ্রগণ্য ছিলেন মিস নোবল। সম্পূর্ণ
নাম মিস মার্গারেট এলিজাবেথ নোবেল। তিনি ভারতে স্ত্রী শিক্ষা বিস্তারের কাজে এবং স্বাধীনতা আন্দোলনে অগ্রণী
ভূমিকা নিয়েছিলেন। ভারতীয় আদর্শে স্ত্রী শিক্ষার প্রচলনের জন্য কলকাতার বাগবাজারে
একটি বালিকা বিদ্যালয় স্থাপন করেন, আজকে নিবেদিতা বালিকা
বিদ্যালয় নামে খ্যাত।
স্টার্ডি- মিস্টার ই টি স্টার্ডি স্বামী বিবেকানন্দের একজন ইংরেজ
ভক্ত। প্রথম জীবনে যখন তিনি ভারতে
ছিলেন তখন আলমোড়ায় তপস্যা করেন। ইংল্যান্ডে বেদান্ত প্রচারের কাজে তিনি স্বামীজীকে সাহায্য
করেন।
মিস মুলার- মিস মুলার এর সম্পূর্ণ নাম হল
মিস হেনরিয়েটা মুলার। 1896 খ্রিস্টাব্দে স্বামীজি কিছুদিন তার অতিথি ছিলেন। বেলুড় মঠ স্থাপনের কাজে তিনি অর্থ সাহায্য
করেছিলেন।
সেভিয়ার দম্পতি - সেভিয়ার দম্পতি হলেন ক্যাপ্টেন জে এইচ সেভিয়ার এবং তার স্ত্রী মিসেস সেভিয়ার। স্বামীজীর বেদান্ত প্রচারের
উদ্দেশ্যে সেভিয়ার দম্পতি মায়াবতী অদ্বৈত আশ্রম প্রতিষ্ঠা করেন।
মিস ম্যাকলাউড- মিস ম্যাকলাউড এর সম্পূর্ণ নাম
মিস জোসেফাইন ম্যাকলাউড। স্বামী বিবেকানন্দের পাশ্চাত্য দেশীয় প্রধান অনুরাগী
ভক্তদের মধ্যে তিনি হলেন অন্যতম। তাঁর জীবন স্বামীজীর চিন্তা-ভাবনা ও কাজের
দ্বারা বিশেষভাবে অনুপ্রাণিত ছিল।
মিসেস বুল- এনার সম্পূর্ণ নাম সারা বুল। নরওয়েবাসী বিখ্যাত
বেহালা বাদক ওলি বুলের স্ত্রী। অনেক
চিঠিতে স্বামীজী তাকে মা বা ধীরামাতা বলে
সম্বোধন করেছেন। তিনি বেলুড় মঠ স্থাপনের
কাজে স্বামীজীকে অনেক অর্থসাহায্য করেছিলেন। এছাড়া অন্যান্য ভাবেও তিনি এ দেশে ও পাশ্চাত্যে
স্বামীজীকে সাহায্য করেছিলেন.
৩.৪। নটেগাছ টা বুড়িয়ে ওঠে কিন্তু মুড়য় না – পঙ্কতিটির তাৎপর্য বিশ্লেষণ করো।
উঃ- উদ্ধৃত অংশটি নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীর লেখা আবহমান কবিতার অংশবিশেষ। এই কবিতায় কবি দেখিয়েছেন যে এক সময় মানুষ ঘর
বেঁধেছিল পল্লী বাংলায়। পরবর্তীকালে
গ্রাম্য সভ্যতার সমৃদ্ধি নষ্ট হয়ে যায়, নগর সভ্যতা বিকাশের
সঙ্গে সঙ্গে স্বাচ্ছন্দ আর সমৃদ্ধিতে টানে গ্রাম ছেড়ে শহরে গিয়ে বাসা বাঁধে বহু
মানুষ । কিন্তু
প্রকৃতি সেখানে নিজের হাতে একইভাবে সাজিয়ে রাখে, জীবন বয়ে চলে
স্বচ্ছন্দ সহজ গতিতে। আর শহরের মানুষেরা শান্তির খোঁজে বারবার ফিরে
আসে গ্রাম বাংলার বুকে। ‘নটে গাছটা বুড়িয়ে ওঠে’; কিন্তু মুড়য় না অর্থাৎ তার গ্রহণযোগ্যতা শেষ হয়
না।
৩.৫। “তাহারা দরিদ্র কিন্তু লোভী নহে” – কাদের কথা বলা হয়েছে ? পাঠ্যাংশ অনুসরণে তাদের দারিদ্র এবং নির্লোভতার প্রসঙ্গ আলোচনা করো।
উঃ- আলোচ্য
উদ্ধৃতিতে বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় রচিত রাধারানী উপন্যাসের অন্তর্গত প্রথম
পরিচ্ছেদ থেকে নেয়া হয়েছে. এখান রাধারানীর
কথা বলা হয়েছে।
রথের মেলা থেকে ফেরার পথে রাধারানীর সঙ্গে
একজনের পরিচয় হয়। রাধারাণী কে সাহায্যর জন্য
সে তার কাছ থেকে মালা কেনে তার জন্য কাপড় পাঠানোর ব্যবস্থা করে এমনকি নিজেরও
রাধারানীর নাম লেখা একটি নোট তাদের ঘরে রেখে যায়। কিন্তু রাধারানীর দরিদ্র হলেও লোভী নয়। সেই ব্যক্তি মালার দাম হিসেবে
যা দিয়েছিল তাই যথেষ্ট ছিল। উপকারীর উপকারের
চিহ্নস্বরূপ সেই নোটটি তারা খরচ করেনি।
0 Comments