দৈনন্দিন জীবনে বিজ্ঞান
ভুমিকাঃ-
সেই সুপ্রাচীন কাল থেকে বর্তমান আধুনিক যুগ
পর্যন্ত বিজ্ঞান আমাদের প্রাত্যহিক জীবনের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। নিশ্বাস- প্রশ্বাসের মত বিজ্ঞান আজ আমাদের কাছে অপরিহার্য। অবশ্য
একথাও ঠিক যে, দৈনন্দিন জীবনে বিজ্ঞান নির্ভরতা মানুষকে
করেছে কৃত্রিম,বিজ্ঞানের অপপ্রয়োগ কেড়ে নিচ্ছে মানুষের
শান্তি।
1.ব্যাবহারিক
জীবনে বিজ্ঞানঃ-
সকালে ঘুম থেকে উঠে আবার ঘুমোতে যাওয়া পর্যন্ত
একজন মানুষের ক্ষেত্রে প্রতিদিনের জীবনে বিজ্ঞানের অস্তিত্বকে এড়িয়ে যাওয়ার
কোনো উপায় নেই। যেমন সংবাদপত্র পাঠ করে সমগ্র দুনিয়ার খবর সংগ্রহ, তারপর দাঁত মাজার ব্রাশ ও পেস্ট ও ফোয়ারার জলে স্নান
করা, কয়েক মাইল দূরত্বকে বাস বা ট্রেনের মাধ্যমে হ্রাস করে
অফিস বা স্কুলে যাওয়া, বিশুদ্ধ জল পান করা, অবসর বিনোদনের জন্য রেডিও ও টিভি দেখা ইত্যাদি সবক্ষেত্রেই প্রতিদিনের কাজে
বিজ্ঞান ছাড়া আমরা চলতে পারি না।
2: শরীর,স্বাস্থ্য ও চিকিৎসায় বিজ্ঞানঃ-
বিজ্ঞান ছাড়া বর্তমান যুগে
সুস্থ থাকা যায়না। বর্তমান পরিবেশের পরিবর্তনের ফলে নানান অদ্ভুত রোগের সৃষ্টি
হচ্ছে। মানুষকে সেই দুরারোগ্য ব্যাধি থেকে উদ্ধার করার জন্য বিজ্ঞান ও তার
কল্যাণকর দিকটিকে তুলে ধরেছে।
3.কৃষিক্ষেত্রে
বিজ্ঞান :
দৈনন্দিন জীবনে কৃষিক্ষেত্রে যে সবুজ বিপ্লব
ঘটেছে,তাও বিজ্ঞানের
অবদান।কৃষিক্ষেত্রে অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি, যেমন ট্রাক্টরের
ব্যাবহারের ফলে ফলন বহুগুন বৃদ্ধি পেয়েছে।এই সবই বিজ্ঞানেরই অবদান।
7.অন্যান্যক্ষেত্রে
বিজ্ঞান :
এছাড়া শিল্প, প্রযুক্তি, মহাকাশ গবেষণা,যাতায়াত, আমোদ-প্রমোদ, খেলাধুলা
প্রভৃতি সমস্ত ক্ষেত্রে দৈনন্দিন জীবনে বিজ্ঞানের অবদান অনস্বীকার্য।
অতিরিক্ত বিজ্ঞাননির্ভরতার কুফল
:
আধুনিক জীবনে বিজ্ঞানের ওপর অপরিমিত নির্ভরতা
মানুষের অনেক ক্ষতি করছে। যন্ত্রনিরভরতার ফলে মানুষ ক্রমশ প্রকৃতির থেকে দূরে চলে
যাচ্ছে। এ ছাড়া আর্থিক সংগতির অভাবে বহু মানুষ বিজ্ঞানের নানাবিধ আশীর্বাদ থেকে
বঞ্চিত হচ্ছে।
উপসংহার :
দৈনন্দিন জীবনের যেদিকেই তাকাই না কেন বিজ্ঞানের
প্রভাবকে অস্বীকার করার উপায় কারোর নেই। একে বাদ দিয়ে মানব সভ্যতা অচল। দারিদ্রতা
কারনে কোটি কোটি মানুষের জীবনে এখনও বিজ্ঞানের আলো গিয়ে পৌঁছায়নি।একদিন
নিম্নবিত্ত পরিবারের মানুষদের কাছে নিশ্চয় পৌঁছে যাবে প্রযুক্তি বিজ্ঞান।
0 Comments