Looking For Anything Specific?

Header Ads

Class -9 Geography Model Activity Task Part -1

 

Class -9

Geography

Model Activity Task

Part -1

সৌরজগতের অন্যান্য গ্রহের মধ্যে একমাত্র পৃথিবীই জীবকূলের আবাসস্থল- বক্তব্যটি যথার্থতা বিচার করো

- সৌরজগতে মোট আটটি গ্রহ এদের মধ্যে কেবলমাত্র পৃথিবীতে মানুষ তাদের বাসস্থল গড়ে তুলেছে এর কারণগুলি হল-

কাম্য উষ্ণতাঃ- সূর্য থেকে ক্রম অনুসারে সৌরজগতে তৃতীয় অবস্থানের গ্রহ পৃথিবী পৃথিবীর গড় উষ্ণতা ১৫ ডিগ্রি সেঃ, যা মানুষের জীবন ধারণের পক্ষে উপযোগী

জলের উপস্থিতিঃ- পৃথিবীর বিস্তীর্ণ অঞ্চল জলপূর্ণ জলভাগ থেকে জলীয় বাষ্প বায়ুতে মিশে পুনরায়ে তা অধঃক্ষেপণের মাধ্যমে পৃথিবীপৃষ্ঠে ফিরে আসে অর্থাৎ জলভাগই জলচক্র সম্পাদনে অংশগ্রহণ করে জলচক্রের জন্যই পৃথিবীতে উৎপাদক গোষ্ঠী সৃষ্টি হয়েছে

শিলামণ্ডলঃ- পৃথিবীর ঘনত্ব .৫২ গ্রাম/সেমি হওয়ার জন্য পৃথিবীর পৃষ্ঠদেশে ভূত্বক সৃষ্টি হয়েছে ভূত্বক শিলামণ্ডলের উপরের স্তর শিলামণ্ডল থাকার জন্য পৃথিবীতে কৃষি, শিল্প পরিবহণ ব্যবস্থা গড়ে উঠেছে পৃথিবীর শিলামণ্ডলের উপরেই উদ্ভিদ প্রাণীজগত বাস করে

বায়ুমণ্ডলঃ- পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে মানুষের শ্বসনকার্জের জন্য প্রয়োজনীয় অক্সিজেন আছে পৃথিবীতে তাই মানুষের বাসস্থল গড়ে উঠেছে

চিত্রসহ দিন-রাত্রির দৈর্ঘ্যের হ্রাসবৃদ্ধির সংঘটন বর্ণনা করো

- পৃথিবীর মেরু কক্ষতলের সাথে ৬৬ ৩০কোণে হেলে অবস্থান করে সূর্যকে পরিক্রমণ করে বলে সূর্যরশ্মি ভূপৃষ্ঠে কোথাও লম্বভাবে, কোথাও তির্যক আবার কোথাও অতিতির্যকভাবে পড়ে ফলে পৃথিবীর  বিভিন্ন অংশে দিন রাত্রির দৈর্ঘ্যের তারতম্য ঘটে

মহাবিষুব:-

২১শে মার্চ সূর্যরশ্মি পৃথিবীপৃষ্ঠে নিরক্ষরেখার উপর লম্বভাবে কর্কটক্রান্তি মকরক্রান্তিরেখায় ৬৬ কোণে এবং উভয় মেরুবৃত্তে ২৩৩০কোণে পতিত হয় পৃথিবীর উভয় গোলার্ধ ওই তারিখে সূর্য থেকে সমান দূরত্বে অবস্থান করায় ছায়াবৃত্ত প্রতিটি অক্ষরেখাকে সমকোণে ছেদ করে ফলে এই দিন পৃথিবীর সর্বত্র দিন রাত্রি সমান হয় এই দিনটিকে বলা হয় মহাবিষুব

কর্কটসংক্রান্তিঃ-

২১শে জুন পৃথিবী সূর্য প্রদক্ষিণের সময় কক্ষপথের এমন জায়গায় আসে যখন সূর্যরশ্মি কর্কটক্রান্তিরেখার উপর ৯০ কোনে পড়ে এই সময় উত্তর গোলার্ধ সূর্যের দিকে হেলে অবস্থান করায় নিরক্ষরেখার উত্তরের স্থানগুলিতে দিন বড়ো রাত ছোটো হয় এবং নিরক্ষরেখার দক্ষিণের স্থানগুলিতে এর বিপরীত অবস্থা হয়

জলবিষুবঃ- ২১শে জুনের পর সূর্যের দক্ষিনমুখী আপাত সঞ্চালন ঘটে উপবৃত্তাকার কক্ষপথে পৃথিবীর পরিক্রমণের জন্য সূর্যের দক্ষিণায়ন শুরু হয় পৃথিবী আরও দক্ষিণে সরে কক্ষপথের এমন এক জায়গায় অবস্থান করে যখন সূর্য নিরক্ষরেখার উপর লম্বভাবে কিরণ দেয় ২১শে মার্চের মত ২৩শে সেপ্টেম্বরেও পৃথিবীর প্রতিটি স্থানে দিন রাত্রি সমান হয়

মকরসংক্রান্তিঃ-

সূর্য প্রদক্ষিণের সময় ২২শে ডিসেম্বর পৃথিবী কক্ষপথের এমন জায়গায় আসে যে সূর্যকিরণ মকরক্রান্তিরেখার উপর লম্বভাবে পড়ে ২২শে ডিসেম্বর সুমেরুবৃত্তের উত্তরে সূর্যরশ্মি পৌছতে না পারায় উত্তরমেরু ছয়মাস অন্ধকারে ডুবে থাকে এইসময় উত্তর গোলার্ধে দিন ছোটো রাত বড়ো এবং দক্ষিণ গোলার্ধে তার বিপরীত অবস্থা হয়

প্রচলিত অপ্রচলিত শক্তির মধ্যে পার্থক্য নিরূপণ করো

-      প্রচলিত শক্তি              অপ্রচলিত শক্তি

যে সমস্ত শক্তি আধুনিক        যে সমস্ত শক্তির    

সভ্যতায় সবচেয়ে বেশি ব্যবহার    ব্যবহার কম তাকে

 করা হয়, তাদের প্রচলিত শক্তি   অপ্রচলিত শক্তি বলে                

 বলে যেমন- কয়লা, খনিজ        যেমন- বায়ুশক্তি,

তেল                              সূর্যশক্তি

প্রচলিত শক্তির উৎস কয়লা, অপ্রচলিত শক্তির উৎস                    

আকরিক লোহা, খনিজ তেল        বায়ুশক্তি, সূর্যশক্তি

 ইত্যাদি                          ইত্যাদি

প্রচলিত শক্তি ব্যবহারের     অপ্রচলিত শক্তি

ফলে পরিবেশ দুষিত হয়       ব্যবহারের ফলে পরিবেশ            

                               দুষিত হওয়ার সম্ভবনা প্রায়                                             

                                নেই বললেই চলে

প্রচলিত শক্তি ব্যাবহারের    অপ্রচলিত শক্তি

ফলে একদিন ফুরিয়ে যাবে     ব্যাবহারের ফলে

                                কোনোদিন ফুরবে না

সম্পদ সংরক্ষণের সম্ভাব্য উপায়গুলি লেখো

-  সম্পদ সংরক্ষণের উপায়গুলি হলঃ-

পরিবর্ত দ্রব্যঃ- বর্তমানে ব্যবহৃত অপুনর্ভব সম্পদের পরিবর্তে অন্য সম্পদ দিয়ে চাহিদা পূরণ করতে হবে

ব্যাবহারিক বাহুল্য হ্রাসঃ- অতিরিক্ত ব্যাবহার কমিয়ে সম্পদ প্রয়োজনমাফিক ব্যাবহার করতে হবে

প্রযুক্তিঃ- উন্নত প্রযুক্তির প্রয়োগে কম কাঁচামালের সাহায্যে বেশি উৎপাদন দ্বারা সম্পদ সংরক্ষণ সম্ভব হয়

পুনরাবর্তনঃ- নতুন সম্পদ সৃষ্টির মাধ্যমে একাধিক বার একই সম্পদ ব্যাবহারে সম্পদ সংরক্ষণ হয় 

Post a Comment

0 Comments