নম্মস্কার বন্ধুরা।
MODEL ACTIVITY TASK
CLASS 8
SUB - GEOGRAPHY
১- বিভিন্ন বিযুক্তিরেখাসহ পৃথিবীর অভ্যন্তরের চিহ্নিত চিত্র অঙ্কন করো।
২- কোনো জায়গায় ভূমিকম্প শুরু হলে কী কী ব্যাবস্থা নেওয়া দরকার তা নিজের ভাষায় গুছিয়ে লেখ।
উ- ভূমিকম্পের কোনো পূর্বাভাস দেওয়া যায় না। এটা হঠাৎ হয় বলে ভয়ানক বিপর্যয় সৃষ্টি করতে পারে। তাই ভূমিকম্প থেকে রক্ষা পেতে যেগুলি করা উচিত সেগুলি হল-
১. ভূমিকম্পের সময় দ্রুত বাড়ি থেকে বেরিয়ে খোলা জায়গায় আসা উচিত।
২. এইসময় ঘর থেকে বেরিয়ে আসা সম্ভব না হলে কোনো টেবিলের নীচে ঢুকে পরা উচিত।
৩. ভুমিকপম্প চলাকালীন বহুতল বাড়ির ঝুল বারান্দা ও সিড়ির ব্যাবহার এড়িয়ে চলা উচিত।
৪. বাড়ি থেকে বেরোবার আগে সম্ভব হলে বাড়ির সমস্ত প্রয়োজনীয় জিনিস নিয়ে বেরিয়ে যাওয়া উচিত।
৩- যেকোনো পাঁচটি ক্ষেত্রে তিন ধরনের শিলার ব্যাবহার উদাহরনসহ লিপিবদ্ধ করো।
উ- আমরা জানি শিলা তিন প্রকার। আগ্নেয় শিলা, পাললিক শিলা, রূপান্তরিত শিলা।
আগ্নেয় শিলা:-
ব্যাসল্ট শিলা- রেললাইনের মধ্যে স্টোনচিপ হিসাবে যে শিলা ব্যাবহার করা হয় তাকে মূলত ব্যাসল্ট।
গ্রানাইট শিলা- গ্রানাইট দিয়ে ঘরের মেঝে, রান্নাঘরের রান্নার টেবিল প্রভৃতি নির্মাণ করা হয়।
পাললিক শিলা:-
চুনাপাথর- ঘরবাড়ি নির্মাণ, সিমেন্ট শিল্পে চুনাপাথর ব্যবহৃত হয়।
কাদাপাথর- মৃৎশিল্পে ব্যবহৃত হয়।
রূপান্তরিত শিলা:-
স্লেট পাথর লেখার কাজে ও টালি তৈরিতে ব্যবহৃত হয়।
সেতু বা বাঁধ তৈরিতে নিস শিলা ব্যবহার হয়।
৪- প্রতিবেশী দেশগুলির সাথে ভারতের সম্পর্ক কেন ভালো রাখা প্রয়োজন বলে তুমি মনে করো।
উ- ভারত ও তার প্রতিবেশী দেশগুলির সঙ্গে সামাজিক মিল যথেষ্ট। এই প্রতিবেশী দেশগুলির সঙ্গে ভারতের সুসম্পর্ক বজায় রাখা প্রয়োজন। কারন –
১. পণ্যদ্রব্য আদানপ্রদান- বিশ্বের কোনো দেশই তার প্রয়োজনীয় সমস্ত পণ্য উৎপাদন করতে পারে না, দেশে যা কিছু উৎপন্ন হয়, তার সবটাই দেশ ব্যাবহার করতে পারে না। তাই বিভিন্ন দেশে পণ্যদ্রব্য আদানপ্রদান প্রয়োজন হয়।
২. জল সম্পদের সুষ্ঠ ব্যাবহার- ভারতে এমন অনেক নদী আছে যেগুলির ঊর্ধ্বপ্রবাহ বা নিম্নপ্রবাহ প্রতিবেশী দেশগুলির মধ্যে দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে।
অর্থনৈতিক উন্নয়নে এই সব নদীকে সুষ্ঠ ভাবে ব্যবহারের জন্যও ভারতের প্রতিবেশী দেশ গুলির সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখা
প্রয়োজন।
৩. বেআইনি অনুপ্রবেশ – সীমান্ত অঞ্চলে চোরা চালান, বেআইনি অনুপ্রবেশ, মাদক দ্রব্য পাচার ইত্যাদি নানা সমস্যার সৃষ্টি হয়।এইসব অবৈধ কার্যকলাপ বন্ধ করার জন্য প্রতিবেশী দেশ গুলির
সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখা প্রয়োজন।
৪. আন্তর্জাতিক মঞ্চে সম্মিলিত মতপ্রকাশ – উন্নত দেশগুলি
ক্রমবর্ধমান শোষণ ও বঞ্চনার বিরুদ্ধে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মঞ্চে একসঙ্গে প্রতিবাদ জানাতে এবং নিজেদের স্বার্থরক্ষার জন্য প্রতিবেশী দেশ গুলির সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখা প্রয়োজন।
৫. প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় সহায়তা- বন্না,খরা,ভুমিকম্প,সুনামি প্রভৃতি ভয়াবহ প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময়ে অর্থ ও ত্রান জনিত সাহায্য লাভের
জন্য প্রতিবেশী দেশ গুলির সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখা প্রয়োজন।

1 Comments
Keep it up
ReplyDelete